বছরের শুরুতে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা। হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবার জামিন আবেদন করেছেন।সে সময় তদন্তের পর মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, শরিফুল আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সেই শরিফুল জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী ১ এপ্রিল সেই আবেদনের শুনানি হবে।আবেদনে শরিফুল জানিয়েছেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। তার বিরুদ্ধে বানোয়াট একটি মামলা করা হয়েছে। শরিফুলের দাবি, সাইফকে নিয়ে তাকে জড়িয়ে সেই ঘটনা পুরোটাই মনগড়া গল্প।
প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলি খানের হামলাকারী? বিশেষ করে তথাকথিত একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর থেকে রীতিমতো প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছিল পুলিশকে।
এবার মুম্বাইয়ে নিম্ন আদালতের কাছে জামিনের আবেদনে লেখা হয়েছে, “এফআইআরটি স্পষ্টতই মিথ্যে এবং শরিফুলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারী তদন্তে পূর্ণসহযোগিতা করেছেন। অতএব, তাকে জেলবন্দি রেখে কোনওরকম কার্যসিদ্ধি হবে না।”
সাক্ষী ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যদি অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার না করেন, তাহলেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়- বলেছেন শরিফুলের আইনজীবী অজয় গাওয়ালি। এই ঘটনার তদন্তও প্রায় শেষ বলে জানান তিনি। শুধু তদন্তের চার্জশিট তৈরি করা বাকি রয়ে গেছে।
গত জানুয়ারি মাসেই সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট শরিফুলের সঙ্গে মেলেনি। মুম্বাই পুলিশ নবাবের বাড়ি থেকে সম্ভাব্য হামলাকারীর ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে। সেখানে শরিফুলের আঙুলের ছাপ ছিল না।
যদিও সেই ফিঙ্গারপ্রিন্টের গড়মিলের ত্বত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছিলেন মুম্বাই পুলিশের এসিপি। এবার শরিফুলের জামিনের আবেদনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলি খানের হামলাকারী? না কি পুরো ঘটনাই ছিল বানোয়াট গল্প?
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। মুম্বাই পুলিশের দাবি, সাইফের ওপর হামলাকারী অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তবে সে রাতে সত্যি শরিফুল সাইফের ওপর হামলা চালিয়েছিল কি না সে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। তবে খুব শিগগির সে ধোঁয়াশা কাটবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।